বরিশাল/News বরিশালের সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেতার ধর্ষণের হুমকি



ধর্ষণের হুমকি, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ফাতিমা তুজ জোহরা মৈতি। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

ফাতিমা তুজ জোহরা মৈতি ৫ আগস্টের আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আমতলী উপজেলা শাখার উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা পদ থেকে পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাতিমা তুজ জোহরা মৈতি বলেন, সম্প্রতি ইমরান খান তার বন্ধুদের সঙ্গে তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই পরিকল্পনা শেয়ার করে। এই আলাপচারিতার স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় তিনি আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ইমরান খান ও তার অনুসারীরা তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমি ছোট বোনের বাসা থেকে ফেরার পথে আমতলী এ কে স্কুলসংলগ্ন রাস্তায় ইমরান খান ও তার সহযোগীরা আমার পথরোধ করে। এরপর তাকে টেনে-হিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করা হয়। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইমরান খান ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ফাতিমা তুজ জোহরা মৈতি বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের হুমকি, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার প্রমাণসহ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমতলী থানায় এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিলে, ২০ মার্চ আমতলী থানা মামলা গ্রহণ করে।

আমতলী সরকারি কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের এই ছাত্রী আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমতলী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ  সভাপতি, মাদক সেবনকারী মো. রিয়াজ মুন্সি ইমরান খানের এসব অপকর্মে সহযোগিতা করে আসছে। রিয়াজ মুন্সি একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তিনি নিজেকে রক্ষা করতে বিএনপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

ফাতিমা তুজ জোহরা মৈতি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর ছাত্রদল নেতা ইমরান খান ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক রাখতে আমাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেত্রী বানিয়ে তারা ২০ মার্চ আমতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করে। অথচ ৫ আগস্ট এর আগেই আমি ছাত্রলীগ থেকে রিজাইন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমতলীতে রাজপথে ছিলাম এবং আছি। 

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Powered by Blogger.