📍 ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
"ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল" কোর্সের ফরম ফিলাপ ফি ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন,
সম্প্রতি বস্ত্র অধিদপ্তর হঠাৎ করেই ফরম ফিলাপ ফি প্রায় ৭০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা পূর্বের তুলনায় ৬০ শতাংশেরও বেশি।
এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও শিক্ষাবান্ধব নীতির পরিপন্থী বলে দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা যারা সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে পড়ি, তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। হঠাৎ এত ফি বাড়ানো আমাদের জন্য একপ্রকার অর্থনৈতিক চাপ।”
তাদের অভিযোগ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ভর্তি ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম হলেও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫৮০০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া হচ্ছে।
একই পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় কেন এমন বৈষম্য—সে প্রশ্নও তোলেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি— “শিক্ষা অধিদপ্তর ও বস্ত্র অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু শিক্ষার্থীর অধিকার নিয়ে বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষা একটি জাতীয় অধিকার, ব্যবসার বিষয় নয়।”
তারা আরও অভিযোগ করেন,
শিক্ষার মানোন্নয়ন বা অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষক সংকট, ল্যাবের যন্ত্রপাতি অচল, ক্লাসে সুযোগ-সুবিধার অভাবের মধ্যেই চলছে পাঠদান।
🎓 শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি:
১️⃣ ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং পূর্বের ফি বহাল রাখতে হবে।
২️⃣ ভর্তি ফি কমাতে হবে।
৩️⃣ শিক্ষার মান ও অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।
৪️⃣ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের অগ্রিম নোটিশ ছাড়া কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীরা বস্ত্র অধিদপ্তরকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে জানায়—
এই সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে তারা ফরম ফিলাপ বর্জন এবং সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবে।
তারা বলেন, “আমরা সংঘাত চাই না, আমরা চাই ন্যায্য অধিকার। শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা চলবে না, চলবে না।”
